ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয় যে , রাসূলের (সাঃ) এমনও স্ত্রী ছিলেন যারা নবীজীর (সাঃ) সাথে অসঙ্গত আচরণ করতেন , অসঙ্গতি সৃষ্টি করত এবং এমনকি নবীজীর (সাঃ) উপর নিজেদের কন্ঠস্বর উঁচু করতেন । তাদেরকে খুব কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ার এবং সাবধান করে দেবার জন্য পবিত্র কোরআনে আয়াত অবতীর্ণ হয় ।
জাহেলিয়াতের যুগে কিছু শ্রেণীর মানুষের উপর অতি খারাপ ও কঠিন আচরণ করা হত , তারা ছিল দাস-দাসী শ্রেনীভুক্ত ।
পক্ষান্তরে , মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এই ধরনের মানুষের সঙ্গে খুব ভাল আচরণ করতেন । অনুরূপভাবে তিনি তার স্ত্রীদের সাথেও অনেক ভাল আচরণ করতেন এমনকি মৃত্যুর সময় তাদেরকে ভুলে যান নি ।
রাসূল (সাঃ) এমন একটি যুগে বসবাস করতেন যেখানে নারীদেরকে প্রচন্ডভাবে অবহেলা করা হত এবং তাদের কোন সম্মান ছিল না । এমনকি কন্যা সন্তানদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হত ।
তিনি নারীদের ঐশ্বরিক অবস্থা ও মানুষের মর্যাদা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ?
রাসূল (সাঃ) প্রতিটি মানুষের সাথে তাই সে নারী হোক আর পুরুষ হোক খুবই ভাল আচরণ করতেন ।
এজন্যই পবিত্র কোরআনে রাসুলকে (সাঃ) উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে -
" --- নিঃসন্দেহে তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে (অনুসরনীয়) উত্তম আদর্শ রয়েছে তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি আকাংখা পোষন করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরন করে --- " ।
সুরা - আহযাব / ২১ ।
" --- এবং নিঃসন্দেহে তুমি (রাসুল) অতীব মহান চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত --- " ।
সুরা - কালাম / ৪ ।
এই আয়াত অনুসারে রাসূলের (সাঃ) আচরণে এক প্রকার মোজেজা ছিল এবং তিনি কারও কথাতে রাগন্বিত হতেন না এবং অহেতুক কথাকেও সহ্য করে নিতেন ।
রাসূল (সাঃ) ছিলেন অতি নরম হৃদয়ের এবং বন্ধু ও শত্রুদের সাথেও তিনি উদারতা ও নৈতিকতার আচরণ করতেন ।
কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী তা ছিল ঈশ্বরের করুণা ও অনুগ্রহ ।
স্ত্রীদের সাথে রাসুলের (সাঃ) এই আচরণ কিভাবে প্রকাশ পেত ?
নবীজীর (সাঃ) প্রথম স্ত্রী ছিলেন হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) ।
পঁচিশ বছরের জীবনে এই দম্পতি অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন । কিন্ত তাঁরা একে অপরের শান্তির কারণ হতেন । এবং তারা একে অপরকে দেখে নিজেদের কষ্ট ও তিক্ততা ভুলে যেতেন ।
হযরত খাদিজাতুল কোবরা (সাঃআঃ) এমনই এক মহিমান্বিত ও অতুলনীয় নারী , যার সম্পর্কে স্বয়ং রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে , "খাদিজার মত কোন রমনী নেই এবং খাদিজার কোন তুলনা নেই । যখন সবাই আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল , তখন সে আমার পাশে দাড়িয়েছিল ।"
রাসূল (সাঃ) স্ত্রীগণের মধ্যে হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) ছিলেন একমাত্র স্ত্রী যিনি দীর্ঘ ২৫ বছর নবীজীর (সাঃ) সাথে ছিলেন ।
এই খাদিজার (সাঃআঃ) গর্ভেই রাসুলের (সাঃ) এর সন্তান হয়েছিল ।
যতদিন এ মহীয়সী নারী বেচেঁ ছিলেন , ততদিন রাসূল (সাঃ) অন্য কোন নারীকে স্ত্রী হিসেবে বেছে নেন নি ।
এমনকি রাসূলের (সাঃ) অন্যান্য স্ত্রীরা এমন সময় তার সাথে ছিলেন , যখন তিনি শক্তিশালী অবস্থানে ছিলেন এবং চারিদিকে মুসলমানদের জয়জয়কার অবস্থা ছিল ।
কিন্ত রাসূলের (সাঃ) মক্কার কঠিন ও নিঃসঙ্গ দিনগুলিতে একনিষ্ঠ সহচর ও সহযোগী ছিলেন হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) ।
তিনি আরও বলেন , হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) আরবের সবচেয়ে ধনী ও সম্পদশালী নারী ছিলেন । তিনি তার সমস্ত অর্থ ও সম্পত্তি ইসলাম ও রাসূলের (সাঃ) সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন ।
মক্কার জীবনে মুসলমানরা যখন মুশরিকদের কর্তৃক কোনঠাসা অবস্থাতে ছিল , তখন একমাত্র হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) অর্থ সম্পদ তাদেরকে বাচিঁয়ে রেখেছিল ।
নবীজীর (সাঃ) সর্বপ্রথম পত্মী হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) জন্য আল্লাহ নিজেই পবিত্র কোরআনে বলছেন যে ,
" -তিনি কি তোমাকে অভাবী পান নি এবং তোমাকে ধনী করেন নি --? "
সুরা - দুহা / ০৮ ।
উদাহরণস্বরূপ , শেবে আবু তালিবে তিন বছরের অবরোধের মধ্যে , নবী (সাঃ) এবং হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন । কিন্ত ঐ অসহনীয় দুঃখ দুদর্শার সময়ও তাঁরা এক অপরের শান্তির কারণ ছিলেন ।
হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) ইন্তেকালের পরও তিনি এত বেশী তাঁর স্মরণ ও সম্মান করতেন যে , তাঁর অন্য স্ত্রীরা কখনও কখনও এর প্রতিবাদ করতেন ।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রতিটি সুযোগে হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) অতুলনীয় গুণাবলী তুলে ধরতেন এবং বলতেন , "যখন সবাই আমাকে অস্বীকার করেছিল তখন খাদিজা আমাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল । সেই কঠিনতম দিনগুলিতে যে দুইজন মানুষ আমার পাশে সর্বস্ব দিয়ে ছায়া ও আশ্রয় প্রদান করেছিলেন তার মধ্যে খাদিজা অন্যতম ।"
হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) মৃত্যুর পর রাসূল (সাঃ) এত বেশী কষ্ট পেয়েছিলেন যে , সাহাবিরা রাসূলের (সাঃ) জীবন নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন ।
এমনকি রাসূল (সাঃ) হযরত খাদিজাকে (সাঃআঃ) এত বেশী ভালবাসতেন যে , মক্কা বিজয়ের পর সাহাবীরা নামি-দামি লোকের বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং সবার অনুরোধকে উপেক্ষা করে রাসূল (সাঃ) যে তিন দিন মক্কায় ছিলেন হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) পবিত্র কবরের পাশে অবস্থান করেন এবং বলেন , তুমি সমস্ত কষ্টের সময় আমার পাশে ছিলে আর আজ আমি মক্কায় এসেছি সুখটাকে তোমার সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ।
হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) রাসূলের (সাঃ) একজন অতি ভাল স্ত্রী ছিলেন এবং রাসূলও (সাঃ) তাকে অধিক ভালবাসতেন ।
পাশাপাশি এটাও কোরআনেই উল্লেখ আছে যে , রাসূলের (সাঃ) কিছু অবাধ্য , ষড়যন্ত্রকারী স্ত্রীগনও ছিলেন যারা রাসুলকে (সাঃ) অনেক কষ্ট দিতেন । কিন্ত তারপরও তিনি তাদের সাথে ভাল আচরণ করতেন ।
মহান আল্লাহ ঐ সকল স্ত্রীদেরকে সতর্ক করে সূরা তাহরীম অবতীর্ণ করেন -
" ---- যদি তোমরা দুইজন আল্লাহর নিকট তওবা কর , কারন নিঃসন্দেহে তোমাদের অন্তর বক্র হয়ে গেছে এবং যদি তোমরা তার (রাসুলের) বিরুদ্বে ষড়যন্ত্রমূলক পরস্পরকে সাহায্য কর , তাহলে (জেনে রাখ) আল্লাহ নিশ্চয়ই তার অভিভাবক এবং জীবরাইল , মুমিনদের মধ্য পূন্যাত্মা ব্যক্তি এবং এরপর ফেরেশতারা তার সাহায্যকারী । হতে পারে যে , যদি সে তোমাদেরকে তালাক দেয় (তাহলে) তার প্রভু তাকে দিবেন (তোমাদের) বদলে (এমন) স্ত্রীদের (যারা) তোমাদের থেকে উত্তম , মুসলিম , মুমিনা , অনুগতা , অনুতাপশীল , ইবাদতকারী এবং রোজা পালনকারী , কুমারীদের এবং অকুমারীদের ----- " ।
সুরা - তাহরীম / ৪ , ৫ ।
তিনি এত বেশী দয়ালু ছিলেন যে , আল্লাহর অনুমতি পাওয়ার পরও রাসুল (সাঃ) ঐ স্ত্রীগনকে তালাক দেন নাই এবং তাদের সাথে মিলেমিশে জীবন-যাপন করেন ।
ইয়া সাহেবুজ্জামান (আঃ) আদরিকনী অাদরিকনী ।
আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ।
আল্লাহুম্মাল আন কাতালাহ আমিরুল মুমিনিন (আঃ) ।
জাহেলিয়াতের যুগে কিছু শ্রেণীর মানুষের উপর অতি খারাপ ও কঠিন আচরণ করা হত , তারা ছিল দাস-দাসী শ্রেনীভুক্ত ।
পক্ষান্তরে , মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এই ধরনের মানুষের সঙ্গে খুব ভাল আচরণ করতেন । অনুরূপভাবে তিনি তার স্ত্রীদের সাথেও অনেক ভাল আচরণ করতেন এমনকি মৃত্যুর সময় তাদেরকে ভুলে যান নি ।
রাসূল (সাঃ) এমন একটি যুগে বসবাস করতেন যেখানে নারীদেরকে প্রচন্ডভাবে অবহেলা করা হত এবং তাদের কোন সম্মান ছিল না । এমনকি কন্যা সন্তানদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হত ।
তিনি নারীদের ঐশ্বরিক অবস্থা ও মানুষের মর্যাদা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ?
রাসূল (সাঃ) প্রতিটি মানুষের সাথে তাই সে নারী হোক আর পুরুষ হোক খুবই ভাল আচরণ করতেন ।
এজন্যই পবিত্র কোরআনে রাসুলকে (সাঃ) উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে -
" --- নিঃসন্দেহে তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে (অনুসরনীয়) উত্তম আদর্শ রয়েছে তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি আকাংখা পোষন করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরন করে --- " ।
সুরা - আহযাব / ২১ ।
" --- এবং নিঃসন্দেহে তুমি (রাসুল) অতীব মহান চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত --- " ।
সুরা - কালাম / ৪ ।
এই আয়াত অনুসারে রাসূলের (সাঃ) আচরণে এক প্রকার মোজেজা ছিল এবং তিনি কারও কথাতে রাগন্বিত হতেন না এবং অহেতুক কথাকেও সহ্য করে নিতেন ।
রাসূল (সাঃ) ছিলেন অতি নরম হৃদয়ের এবং বন্ধু ও শত্রুদের সাথেও তিনি উদারতা ও নৈতিকতার আচরণ করতেন ।
কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী তা ছিল ঈশ্বরের করুণা ও অনুগ্রহ ।
স্ত্রীদের সাথে রাসুলের (সাঃ) এই আচরণ কিভাবে প্রকাশ পেত ?
নবীজীর (সাঃ) প্রথম স্ত্রী ছিলেন হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) ।
পঁচিশ বছরের জীবনে এই দম্পতি অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন । কিন্ত তাঁরা একে অপরের শান্তির কারণ হতেন । এবং তারা একে অপরকে দেখে নিজেদের কষ্ট ও তিক্ততা ভুলে যেতেন ।
হযরত খাদিজাতুল কোবরা (সাঃআঃ) এমনই এক মহিমান্বিত ও অতুলনীয় নারী , যার সম্পর্কে স্বয়ং রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে , "খাদিজার মত কোন রমনী নেই এবং খাদিজার কোন তুলনা নেই । যখন সবাই আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল , তখন সে আমার পাশে দাড়িয়েছিল ।"
রাসূল (সাঃ) স্ত্রীগণের মধ্যে হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) ছিলেন একমাত্র স্ত্রী যিনি দীর্ঘ ২৫ বছর নবীজীর (সাঃ) সাথে ছিলেন ।
এই খাদিজার (সাঃআঃ) গর্ভেই রাসুলের (সাঃ) এর সন্তান হয়েছিল ।
যতদিন এ মহীয়সী নারী বেচেঁ ছিলেন , ততদিন রাসূল (সাঃ) অন্য কোন নারীকে স্ত্রী হিসেবে বেছে নেন নি ।
এমনকি রাসূলের (সাঃ) অন্যান্য স্ত্রীরা এমন সময় তার সাথে ছিলেন , যখন তিনি শক্তিশালী অবস্থানে ছিলেন এবং চারিদিকে মুসলমানদের জয়জয়কার অবস্থা ছিল ।
কিন্ত রাসূলের (সাঃ) মক্কার কঠিন ও নিঃসঙ্গ দিনগুলিতে একনিষ্ঠ সহচর ও সহযোগী ছিলেন হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) ।
তিনি আরও বলেন , হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) আরবের সবচেয়ে ধনী ও সম্পদশালী নারী ছিলেন । তিনি তার সমস্ত অর্থ ও সম্পত্তি ইসলাম ও রাসূলের (সাঃ) সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন ।
মক্কার জীবনে মুসলমানরা যখন মুশরিকদের কর্তৃক কোনঠাসা অবস্থাতে ছিল , তখন একমাত্র হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) অর্থ সম্পদ তাদেরকে বাচিঁয়ে রেখেছিল ।
নবীজীর (সাঃ) সর্বপ্রথম পত্মী হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) জন্য আল্লাহ নিজেই পবিত্র কোরআনে বলছেন যে ,
" -তিনি কি তোমাকে অভাবী পান নি এবং তোমাকে ধনী করেন নি --? "
সুরা - দুহা / ০৮ ।
উদাহরণস্বরূপ , শেবে আবু তালিবে তিন বছরের অবরোধের মধ্যে , নবী (সাঃ) এবং হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন । কিন্ত ঐ অসহনীয় দুঃখ দুদর্শার সময়ও তাঁরা এক অপরের শান্তির কারণ ছিলেন ।
হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) ইন্তেকালের পরও তিনি এত বেশী তাঁর স্মরণ ও সম্মান করতেন যে , তাঁর অন্য স্ত্রীরা কখনও কখনও এর প্রতিবাদ করতেন ।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রতিটি সুযোগে হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) অতুলনীয় গুণাবলী তুলে ধরতেন এবং বলতেন , "যখন সবাই আমাকে অস্বীকার করেছিল তখন খাদিজা আমাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল । সেই কঠিনতম দিনগুলিতে যে দুইজন মানুষ আমার পাশে সর্বস্ব দিয়ে ছায়া ও আশ্রয় প্রদান করেছিলেন তার মধ্যে খাদিজা অন্যতম ।"
হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) মৃত্যুর পর রাসূল (সাঃ) এত বেশী কষ্ট পেয়েছিলেন যে , সাহাবিরা রাসূলের (সাঃ) জীবন নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন ।
এমনকি রাসূল (সাঃ) হযরত খাদিজাকে (সাঃআঃ) এত বেশী ভালবাসতেন যে , মক্কা বিজয়ের পর সাহাবীরা নামি-দামি লোকের বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং সবার অনুরোধকে উপেক্ষা করে রাসূল (সাঃ) যে তিন দিন মক্কায় ছিলেন হযরত খাদিজার (সাঃআঃ) পবিত্র কবরের পাশে অবস্থান করেন এবং বলেন , তুমি সমস্ত কষ্টের সময় আমার পাশে ছিলে আর আজ আমি মক্কায় এসেছি সুখটাকে তোমার সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ।
হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) রাসূলের (সাঃ) একজন অতি ভাল স্ত্রী ছিলেন এবং রাসূলও (সাঃ) তাকে অধিক ভালবাসতেন ।
পাশাপাশি এটাও কোরআনেই উল্লেখ আছে যে , রাসূলের (সাঃ) কিছু অবাধ্য , ষড়যন্ত্রকারী স্ত্রীগনও ছিলেন যারা রাসুলকে (সাঃ) অনেক কষ্ট দিতেন । কিন্ত তারপরও তিনি তাদের সাথে ভাল আচরণ করতেন ।
মহান আল্লাহ ঐ সকল স্ত্রীদেরকে সতর্ক করে সূরা তাহরীম অবতীর্ণ করেন -
" ---- যদি তোমরা দুইজন আল্লাহর নিকট তওবা কর , কারন নিঃসন্দেহে তোমাদের অন্তর বক্র হয়ে গেছে এবং যদি তোমরা তার (রাসুলের) বিরুদ্বে ষড়যন্ত্রমূলক পরস্পরকে সাহায্য কর , তাহলে (জেনে রাখ) আল্লাহ নিশ্চয়ই তার অভিভাবক এবং জীবরাইল , মুমিনদের মধ্য পূন্যাত্মা ব্যক্তি এবং এরপর ফেরেশতারা তার সাহায্যকারী । হতে পারে যে , যদি সে তোমাদেরকে তালাক দেয় (তাহলে) তার প্রভু তাকে দিবেন (তোমাদের) বদলে (এমন) স্ত্রীদের (যারা) তোমাদের থেকে উত্তম , মুসলিম , মুমিনা , অনুগতা , অনুতাপশীল , ইবাদতকারী এবং রোজা পালনকারী , কুমারীদের এবং অকুমারীদের ----- " ।
সুরা - তাহরীম / ৪ , ৫ ।
তিনি এত বেশী দয়ালু ছিলেন যে , আল্লাহর অনুমতি পাওয়ার পরও রাসুল (সাঃ) ঐ স্ত্রীগনকে তালাক দেন নাই এবং তাদের সাথে মিলেমিশে জীবন-যাপন করেন ।
ইয়া সাহেবুজ্জামান (আঃ) আদরিকনী অাদরিকনী ।
আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ।
আল্লাহুম্মাল আন কাতালাহ আমিরুল মুমিনিন (আঃ) ।
Subscribe Our Youtube Channel