অন্য লোকের কল্যানের পিছনে কি কারন বা নিয়ত ছিল এবং কিভাবে তা সম্পাদন করা হল , তা হযরত শেইখের দৃষ্টিতে সবচে গুরুত্বপূর্ন ।
হযরত শেইখ বিশ্বাস করতেন যে , আমাদের পবিত্র ইমামগন (আঃ) এবং আল্লাহর বন্ধুরা যেভাবে অন্যের সেবায় নিয়োজিত থাকেন ঠিক সেভাবে আমাদেরকেও অন্যের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে ।
পবিত্র ইমামগন (আঃ) এবং আল্লাহর বন্ধুদের অন্যের সেবা করার পিছনে একমাত্র উদ্দেশ্য থাকত মহান আল্লাহর ভালবাসা ও সন্তষ্টি অর্জন করা ।
এ বিষয় হযরত শেইখ বলতেন ,
অন্যের প্রতি কল্যানকে অবশ্যই হতে হবে আল্লাহমুখী হওয়ার কারনে ।
"--- আমরা তোমাদের খাওয়াই শুধু আল্লাহর কারনে । আমরা তোমাদের কাছে কোন পুরস্কার চাই না , আর না কোন ধন্যবাদ --- " ।
সুরা - ইনসান / ৯ ।
তোমরা তোমাদের সন্তানদের কতইনা ভালবাস , সন্তানদের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় কর ।
কিন্ত এর বিনিময় শিশু সন্তানরা তাদের পিতা মাতার জন্য কি কিছু করতে পারে ?
বরং পিতা মাতারা তাদের বাচ্চাদের প্রেমে সব সময় মশগুল থাকে এবং বাচ্চাদের জন্য দেদার অর্থ খরচ করে এই ভালবাসার টানে ।
তাহলে কেন তোমরা মহান আল্লাহর সাথে একই আচরন কর না ?
তাহলে কেন তোমরা মহান আল্লাহকে ততটুকু ভালবাস না , যতটুকু তোমরা তোমাদের বাচ্চাকে ভালবাস ?
এবং তোমরা এতটাই অকৃতজ্ঞ যে , যদি হঠাৎ করে তোমরা কাউকে উপকার করে ফেল তখন তোমরা তার জন্য পুরস্কার চাও !
সুপ্রিয় পাঠক ,
বিশ্বাস করুন , উপরের কথাগুলো পড়ে আসলেই নিজেকে খুবই লজ্জিত লাগছে ।
আমরা আমাদের বাচ্চাকে কতই না ভালবাসি । বাচ্চার ভাল মন্দ , রাগ অনুরাগ ইত্যাদি সকল বিষয় সম্পর্কে খুবই সচেতন থাকি । অবশ্যই এটাই করা উচিৎ ।
কিন্ত আমরা কি সেভাবে আল্লাহর প্রতি মনযোগ দেই !
আমরা কি আল্লাহর প্রতি যথেষ্ট উদাসীন নই !
বাচ্চাদেরকে যেভাবে পাগলের মত ভালবাসি
সেভাবে আল্লাহকে কি ভালবাসি ?
পবিত্র কোরআনে এরকম সুস্পষ্ট নির্দেশ বিদ্যমান থাকার পরেও আমরা কি পেরেছি তাঁদেরকে সেভাবে ভালবাসতে ----
“ – বল , আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোন পুরস্কার চাই না , শুধু আমার রক্তজ বংশধরদের প্রতি গভীর ভালবাসা ছাড়া – “ ।
সুরা – শুরা / ২৩ ।
সেভাবে ভাল কি বাসি আমার দয়াল নবীজীকে (সাঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি আমার চরম দুঃখিনী মা ফাতেমাকে (সাঃআঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি রমজানে মসজিদ খুন হয়ে যাওয়া আমার প্রথম শহীদ ইমাম আলীকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি বিষে নীল হয়ে যাওয়া আমার দ্বিতীয় ইমাম হাসানকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি কারবালার মরু প্রান্তরে ছয় মাসের বাচ্চাসহ শহীদ মজলুম ইমাম হোসেনকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি চোখের সামনে শহীদ হয়ে যাওয়া পিতা ,চাচা , ভাইয়ের করুন মৃত্যু অবলোকনকারী চতুর্থ ইমাম জয়নুল আবেদীনকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি পঞ্চম ইমাম বাকেরকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি ষষ্ঠ ইমাম জাফর সাদেককে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি সপ্তম ইমাম মুসা কাজেম (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি অষ্টম ইমাম অালী রেজাকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি নবম ইমাম মোহাম্মাদ তাক্বীকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি দশম ইমাম আলী নাক্বীকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি একাদশ ইমাম হাসান আসকারীকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি আমাদের বর্তমান ইমাম মাহদীকে (আঃ) ?
প্রিয় নবীজী (সাঃ) থেকে শুরু করে একাদশ ইমাম হাসান আসকারী (আঃ) সহ মোট তের জনের সকলকেই বিষ , লাথি ও বিষাক্ত তলোয়ার দিয়ে অন্যায়ভাবে খুন করা হয়েছে ।
আল্লাহ , নবী রাসুলগন ও পবিত্র ইমামগন নিঃস্বার্থ ভাবে শুধু আমাদের জন্য ভালবাসা বিলিয়েই গেলেন !
বিনিময় অন্তর থেকে একটুখানি প্রকৃত ভালবাসাটুকু দিতে পারলাম না !
আসলে আমি খুবই অকৃতজ্ঞ ও চরম স্বার্থপর একজন মানুষ ।
কিছু কি ভাবছেন , আপনি ?
সদা মঙ্গলময় থাকুন ।
ইয়া সাহেবুজ্জামান (আঃ) আদরিকনী আদরিকনী ,
আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ,
আল্লাহুম্মাল আন কাতালাহ আমিরিল মুমিনিন (আঃ) ।
আধ্যাত্মিক বিস্ময় ,
শেইখ রজব আলী খাইয়্যাত
মুহাম্মাদ রেইশাহরি
অনুবাদে - মুহাম্মাদ ইরফানুল হক
পৃষ্ঠা - ১৯৬ ছায়া অবলম্বনে ।
হযরত শেইখ বিশ্বাস করতেন যে , আমাদের পবিত্র ইমামগন (আঃ) এবং আল্লাহর বন্ধুরা যেভাবে অন্যের সেবায় নিয়োজিত থাকেন ঠিক সেভাবে আমাদেরকেও অন্যের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে ।
পবিত্র ইমামগন (আঃ) এবং আল্লাহর বন্ধুদের অন্যের সেবা করার পিছনে একমাত্র উদ্দেশ্য থাকত মহান আল্লাহর ভালবাসা ও সন্তষ্টি অর্জন করা ।
এ বিষয় হযরত শেইখ বলতেন ,
অন্যের প্রতি কল্যানকে অবশ্যই হতে হবে আল্লাহমুখী হওয়ার কারনে ।
"--- আমরা তোমাদের খাওয়াই শুধু আল্লাহর কারনে । আমরা তোমাদের কাছে কোন পুরস্কার চাই না , আর না কোন ধন্যবাদ --- " ।
সুরা - ইনসান / ৯ ।
তোমরা তোমাদের সন্তানদের কতইনা ভালবাস , সন্তানদের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় কর ।
কিন্ত এর বিনিময় শিশু সন্তানরা তাদের পিতা মাতার জন্য কি কিছু করতে পারে ?
বরং পিতা মাতারা তাদের বাচ্চাদের প্রেমে সব সময় মশগুল থাকে এবং বাচ্চাদের জন্য দেদার অর্থ খরচ করে এই ভালবাসার টানে ।
তাহলে কেন তোমরা মহান আল্লাহর সাথে একই আচরন কর না ?
তাহলে কেন তোমরা মহান আল্লাহকে ততটুকু ভালবাস না , যতটুকু তোমরা তোমাদের বাচ্চাকে ভালবাস ?
এবং তোমরা এতটাই অকৃতজ্ঞ যে , যদি হঠাৎ করে তোমরা কাউকে উপকার করে ফেল তখন তোমরা তার জন্য পুরস্কার চাও !
সুপ্রিয় পাঠক ,
বিশ্বাস করুন , উপরের কথাগুলো পড়ে আসলেই নিজেকে খুবই লজ্জিত লাগছে ।
আমরা আমাদের বাচ্চাকে কতই না ভালবাসি । বাচ্চার ভাল মন্দ , রাগ অনুরাগ ইত্যাদি সকল বিষয় সম্পর্কে খুবই সচেতন থাকি । অবশ্যই এটাই করা উচিৎ ।
কিন্ত আমরা কি সেভাবে আল্লাহর প্রতি মনযোগ দেই !
আমরা কি আল্লাহর প্রতি যথেষ্ট উদাসীন নই !
বাচ্চাদেরকে যেভাবে পাগলের মত ভালবাসি
সেভাবে আল্লাহকে কি ভালবাসি ?
পবিত্র কোরআনে এরকম সুস্পষ্ট নির্দেশ বিদ্যমান থাকার পরেও আমরা কি পেরেছি তাঁদেরকে সেভাবে ভালবাসতে ----
“ – বল , আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোন পুরস্কার চাই না , শুধু আমার রক্তজ বংশধরদের প্রতি গভীর ভালবাসা ছাড়া – “ ।
সুরা – শুরা / ২৩ ।
সেভাবে ভাল কি বাসি আমার দয়াল নবীজীকে (সাঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি আমার চরম দুঃখিনী মা ফাতেমাকে (সাঃআঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি রমজানে মসজিদ খুন হয়ে যাওয়া আমার প্রথম শহীদ ইমাম আলীকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি বিষে নীল হয়ে যাওয়া আমার দ্বিতীয় ইমাম হাসানকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি কারবালার মরু প্রান্তরে ছয় মাসের বাচ্চাসহ শহীদ মজলুম ইমাম হোসেনকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি চোখের সামনে শহীদ হয়ে যাওয়া পিতা ,চাচা , ভাইয়ের করুন মৃত্যু অবলোকনকারী চতুর্থ ইমাম জয়নুল আবেদীনকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি পঞ্চম ইমাম বাকেরকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি ষষ্ঠ ইমাম জাফর সাদেককে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি সপ্তম ইমাম মুসা কাজেম (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি অষ্টম ইমাম অালী রেজাকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি নবম ইমাম মোহাম্মাদ তাক্বীকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি দশম ইমাম আলী নাক্বীকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি একাদশ ইমাম হাসান আসকারীকে (আঃ) ?
সেভাবে ভাল কি বাসি আমাদের বর্তমান ইমাম মাহদীকে (আঃ) ?
প্রিয় নবীজী (সাঃ) থেকে শুরু করে একাদশ ইমাম হাসান আসকারী (আঃ) সহ মোট তের জনের সকলকেই বিষ , লাথি ও বিষাক্ত তলোয়ার দিয়ে অন্যায়ভাবে খুন করা হয়েছে ।
আল্লাহ , নবী রাসুলগন ও পবিত্র ইমামগন নিঃস্বার্থ ভাবে শুধু আমাদের জন্য ভালবাসা বিলিয়েই গেলেন !
বিনিময় অন্তর থেকে একটুখানি প্রকৃত ভালবাসাটুকু দিতে পারলাম না !
আসলে আমি খুবই অকৃতজ্ঞ ও চরম স্বার্থপর একজন মানুষ ।
কিছু কি ভাবছেন , আপনি ?
সদা মঙ্গলময় থাকুন ।
ইয়া সাহেবুজ্জামান (আঃ) আদরিকনী আদরিকনী ,
আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ,
আল্লাহুম্মাল আন কাতালাহ আমিরিল মুমিনিন (আঃ) ।
আধ্যাত্মিক বিস্ময় ,
শেইখ রজব আলী খাইয়্যাত
মুহাম্মাদ রেইশাহরি
অনুবাদে - মুহাম্মাদ ইরফানুল হক
পৃষ্ঠা - ১৯৬ ছায়া অবলম্বনে ।
Subscribe Our Youtube Channel