মাতম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও রেফারেন্স পর্ব-০৪

মাতম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও রেফারেন্স পর্ব-০৪

উত্তর ২১ঃ হযরত ইয়াকুব ইউসুফের বিরহে বিলাপ করেন, "হে আমার প্রিয় পুত্র, আমার চক্ষের শান্তি, আমার মনের ফল, আমার হৃদয়ের টুকরা, তোমাকে কোন কুপে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছে কোন তলওয়ারের দ্বারা আহত করা হয়েছে, কোন স্থানে পতিত করা হয়েছে"
(সূত্রঃ আওরাকে গাম, পৃষ্ঠাঃ ৩৫ ও ৫৬)।

উত্তর ২২ঃ হযরত ফাতেমা (সাঃআঃ) প্রিয় পিতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর বিরহে নিম্মক্ত বিলাপ করেন "হায় কতই না দুঃখ হয় যে মদিনা আজ ছারখার হইতে চলিয়াছে"
(সূত্রঃ মোয়ারেযুন নবুওয়াত, পৃষ্ঠাঃ ১৩২)।

উত্তর ২৩ঃ যখন আজরাইল (আঃ) হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ)-এর রূহ বাহির করিবার পর জিব্রাইলের সাথে 'আলায়ে ইল্লিয়িনের' দিকে রাওয়ানা হলেন তখন তারা অবিরল কাঁদিতে থাকেন ও হায় মোহাম্মাদ হায় মোহাম্মাদ (সাঃ) হায় রাসুলে রাব্বুল আলামিন বলিয়া বিলাপ ও নাওহা করিতে থাকেন।
(সূত্রঃ আওরাকে গামের, পৃষ্ঠাঃ ১৩৬)।

উত্তর ২৪ঃ হযরত ওমর অসিয়ত করে যান যে, তাহার নিজের জানাজার সঙ্গে যেন বিলাপ ক্রন্দন কারিদের রাখা হয়।
(সুত্রঃ সেররোশ সাহাদাতায়েন, পৃষ্ঠাঃ ৬)।

উত্তর ২৫ঃ যখন হযরত বেলাল আযানে মোহাম্মাদ (সাঃ)-এর নাম উচ্চারিত করিলেন মদিনায় এমন ব্যাক্তি নাই, যে না কাঁদিল ও পরিতাপ বিলাপ না করিল।
(সূত্রঃ মোয়াঃ নাবুওয়াত,৩৫২)

উত্তর ২৬ঃ হযরত মুসা (আঃ)-এর জন্য ময়দানে বনী-ইসরাইলগন ত্রিশ দিন পর্যন্ত মাতম জারী করেছেন এবং হযরত হারুনের ওয়াফাতের পর বনী-ইসরাইলগন ত্রিশ দিন পর্যন্ত কেঁদেছেন।
(সূত্রঃ মুসনাদে ইমাম ইবনে হাম্বাল, মেশকাত শরীফ, রাওজাতুল আহবাব গুনিয়াতুত তালেবিন)।

উত্তর ২৭ঃ হযরত রাসুলে খোদা (সাঃ)এর ওয়াফাতে আহলেবায়েতে আযাম, সাহাবায়ে কেরাম, নবী পত্নীগণ ক্রন্দন করেন, মাতম করেন, মর্সিয়া পাঠ করেন। সাহাবাগনের কেউ কেউ নবীর বিচ্ছেদে নিজের দাঁত ভেঙ্গে ফেলেন, কেউ আবার অন্ধ এবং পাগল হয়ে যান, কেউ দেশ ছেড়ে দেন, কারো আবার হুশ জ্ঞান ছিলনা। এমনকি নবীর বিচ্ছেদে 'উসতুতে হানানা' খেজুরের কাঠ ক্রন্দন করে এবং সমস্ত মদিনাবাসি শোকাছন্ন হয়।
(সুত্রঃ মেশকাত, বাব উফাতুন্নবী রাওজাতুস সাফা ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১৮; ইবনে খালেদুন ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৫৯; কিতাবে রাওজাতুল আহবাব)।

উত্তর ২৮ঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, হযরত জায়েদ ইবনে আরকাম, হযরত সাহল শাহরুজী, হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আল-আনসারী ইমাম হুসায়নের শোকে মাতম করেন।
(সুত্রঃ তাজকেরানু আইন)।

উত্তর ২৯ঃ নবী (সাঃ)-এর প্রিয় স্ত্রী হযরত উম্মে সালমা রাঃ ইমাম হুসায়নের জন্য মাতম করেন।
(সূত্রঃ লাহুফ, পৃষ্ঠা ১১)।

মাতম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও রেফারেন্স পর্ব-০১
মাতম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও রেফারেন্স পর্ব-০২
মাতম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও রেফারেন্স পর্ব-০৩


Subscribe Our Youtube Channel

Disqus Comments