পবিত্র শবে বরাত কি এবং এই রাতের যেভাবে প্রচলন হয় ? কেন এবং কিসের জন্য এই রজনী এতটা বরকতময় ? আসুন জেনে নিই।
হযরত মুহাম্মাাদ (সাঃ) থেকে এ রাতের ব্যাপারে অনেক হাদীস বিদ্যমান রয়েছে । তবে যেসব হাদীসসমূহ পরিপূর্ণতার আলোকে ইসলামের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্যতা রাখে তা নিম্নে বর্ণিত হল ,
যথা --
রাসূলে খোদা (সাঃ) বলেছেন , শাবান মাসের মধ্য রজনীতে অর্থাৎ ১৫ই শাবানের রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম ।
এমন সময় জিব্রাঈল (আঃ) আমার নিকট উপস্থিত হয়ে বলল , হে মুহাম্মাাদ ! কিভাবে আপনি এ রাতে ঘুমিয়ে আছেন ?
জিজ্ঞাসা করলাম , হে জিব্রাঈল ! কেন এ রাত এমন কি রাত ?
সে বলল , এ রাত হচ্ছে ১৫ই শাবানের রাত । হে মুহাম্মাাদ , উঠুন !
এর পর সে আমাকে শোয়া থেকে উঠাল এবং জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে বলল , আকাশের দিকে চেয়ে দেখুন ! আজ রাতে আসমানের দরজা সমূহ খুলে যাবে । রহমতের দরজা সমূহ খুলে যাবে এবং খুলে যাবে সকল সুখ , সমৃদ্ধি , ক্ষমা , রুযি , পরিত্রাণ পাওয়া ও পূনর্জ্জিবীত হওয়ার দরজা সমূহ ও আরও অন্যান্য ...।
মহান আল্লাহ্ এ রাতে চারপায়ী জন্তুর গায়ের চুল ও পশমের পরিমাণ নিজ বান্দাগণকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করবেন । এ রাতে তিনি মৃত্যুর সময় এবং আগামী এক বছরের রিযিক (এখানে সকল নেয়ামতকেই বুঝান হয়েছে) নির্ধারণ করবেন ।
হে মুহাম্মদ !
যারা এ রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালাকে পবিত্র ও একক সত্তা জেনে তাঁর যিকির করবে , তাকে রাজী-খুশি করার জন্য নামায-দোয়া পড়বে , পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করবে ও অধিক পরিমাণে আসতাগফার করে রাতকে প্রভাতে পৌছাবে তাদের স্থান হবে জান্নাতে এবং তারা এর পূর্বে যা কিছু গোনাহ আঞ্জাম দিয়েছে ও পরবর্তীতে আঞ্জাম দিবে তাও ক্ষমা করে দিবেন...।
দ্বিতীয় হিজরীর ১৫ই শাবানের মধ্য রাতে উক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হয় ।
আর তখন থেকেই শবে বরাতের এ রসম-রেওয়াজ প্রচলিত হয় ।
সূত্র - ইবনে তাউউস , আলী বিনমুসা , ইকবালুল আ’মাল , পৃ.- ২১২ , বৈরুত প্রিন্ট , প্রকাশক - মুয়াস্সিসাতুল আয়া’লামিলিল মাতবুআ’ত, ১৪১৭ হিজরী । আল্ মাজলিসি , মুহাম্মদ বাকির / বিহরুল আনওয়ার , খণ্ড-৯৮ ,পৃ.-৪১৩, বৈরুত প্রিন্ট, প্রকাশক - মুয়াস্সিসাতুল ওয়াফা, ১৪০৩ হিজরী ।
আমরা এটা জানি যে , এ পৃথিবীতে কোন কিছুই কার্যকারন ব্যতীত সংঘটিত হয় না ।
তাই ১৫ই শাবান ফযিলত মণ্ডিত হওয়ার পেছনেও নিহিত রয়েছে উপযুক্ত কার্যকারন ।
প্রিয় পাঠক ,
আর তা হচ্ছে আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়াতা’য়ালার সর্বশেষ হুজ্জাত , নবী (সাঃ) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ) এর বংশধারার নবম সন্তান ----
সর্বশেষ বারতম ইমাম মাহদী (আঃ) এর শুভ জন্ম রাত ।
যিনি শেষ যমানায় আবির্ভূত হয়ে বিশ্বকে সমস্ত প্রকার অন্যায়-অত্যাচার , নীপিড়ন-নির্যাতন ও জালিমের যুলুম থেকে রক্ষা করে ন্যায়ের মানদন্ডের আওতায় নিয়ে আসবেন এবং খোদায়ী শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন ।
তখন এ পৃথিবীতে থাকবে না কোন প্রকার যুলুম-অত্যাচার , থাকবে না কোন ভেদাভেদ , বাঘ ও ছাগল একই তীরে এক সঙ্গে পানি পান করবে । তখন না বাঘ ছাগলের উপর হামলা করবে আর না ছাগল বাঘকে ভয় পাবে ।
আল্লাহ্ রাব্বুলআ’লামিন আমাদেরকে সে দিন দেখে যাওয়ার তৌফিক দান করুন ,
ঈলাহী আমিন ।
এ রাত ফযিলত মণ্ডিত হবার প্রকৃত কারন আমারা জানতে পারলাম ।
পবিত্র মাসুমিন ইমাম (আঃ) গণও এ রাত ফযিলত মণ্ডিত হবার প্রকৃত কারন এই পবিত্র ব্যক্তিত্বের জন্ম গ্রহণের কারনকেই উল্লেখ করেছেন ।
যা আমরা সাইয়্যেদ বিনতা ইউসের কিতাবে লক্ষ্য করে থাকি ।
তিনি স্বীয় কিতাবে বলছেন , যেহেতু আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা এত বড় ও সর্বাধিক উত্তম কল্যান বা অনুগ্রহ দান করেছেন সেহেতু প্রতিটি মানুষের উচিৎ সেই মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে তাঁর শুকরিয়া আদায় করা এবং শরীরের সর্বশেষ শক্তি দিয়ে এই সর্বোত্তম এলাহী নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ।
আজ্জালাল্লাহু তা’য়ালা ফারাজাহুশ্ শারীফ ।
সূত্র - ইবনে তাউউস , আলীবিন মুসা , ইকবালুল আ’মাল , পৃ.-২০৭ থেকে ২৩৭ পর্যন্ত , বৈরুত প্রিন্ট, প্রকাশক:মুয়াস্সিসাতুল আয়া’লামি লিল মাতবুআ’ত, ১৪১৭ হিজরী । আল্ মাজলিসি, মুহাম্মদ বাকির, বিহরুল আনওয়ার, খণ্ড-৯৪, পৃ.-৮৫, হা.-৫, বৈরুত প্রিন্ট, প্রকাশক: মুয়াস্সিসাতুলওয়াফা, ১৪০৩ হিজরী ।
আমরা ১৫ই শা’বানের আমলে লিপিবদ্ধ একটি দোয়ায় পড়ে থাকি যে ,
((اللهم بحق ليلتنا هذه و مولودها و حجتك و موعودها التى قرنت الى فضلها فضلا فتمت كلمتك صدقا و عدلا لا مبدل لكلماتك ...))
হে আল্লাহ্ ! তোমাকে এই রাতের এবং এই রাতে জন্মগ্রহণকারীর উছিলা দিয়ে ডাকছি এবং তোমার সত্য ও প্রতিশ্রুত হুজ্জাতের উছিলা ধরছি যে , যাঁর কারনে ফযিলতের উপর ফযিলত দিয়েছ । আর তোমার সত্য ও ন্যায়ের বাণী পরিপূর্ণতায় পৌছেছে এবং তোমার বাণীর পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করার ক্ষমতা কারও নেই ।
সূত্র - ইবনে তাউউস , আলীবিন মুসা , ইকবালুল আ’মাল, পৃ.-২১৯, বৈরুত প্রিন্ট, প্রকাশক: মুয়াস্সিসাতুল আয়া’লামিলিল মাতবুআ’ত, ১৪১৭ হিজরী ।
ইমাম মাহদী (আঃ) ২৫৫ হিজরীর ১৫ই শাবানে জন্মগ্রহণ করেছেন তার প্রমাণ শীয়া ও সুন্নি মাযহাবের অনেক রেওয়ায়েতেই পাওয়া যায় এবং উক্ত হাদীসসমূহে এ বিষয়টিও পরিস্কারভাবে উল্লেখ রয়েছে যে , এই পবিত্র রাতে তাঁর জন্মগ্রহনই হচ্ছে এ রাতের ফযিলতের কারণ ।
সূত্র - আল্ কুলাইনী , মুহাম্মদ বিন ইয়াকুব, আল্ কাফী, খণ্ড-১, পৃ.-৫১৪, তেহরান প্রিন্ট, প্রকাশক: দারুলকুতুবিল ইসলামিইয়্যা, সন ১৩৬৫ ফার্সি / আছ্ ছাদুক, মুহাম্মদ বিন আলী ইবনুল হুসাইন , কামালু্দ্দিন ওয়া তামামুন্ নেয়া’মাত, খণ্ড-২, পৃ.-৪৩২, তেহরান প্রিন্ট , প্রকাশক - দারুল কুতুবিল ইসলামিইয়্যা , সন ১৩৯৫ ফার্সি / সাবরাবি , আব্দুল্লাহ্ বিন মুহাম্মদ, আল্ ইত্তাহাফু বিহুব্বিল আশরাফ, পৃ.-১৭৯ / ইবনে ছাব্বাগুল মালিকি , নুরুদ্দিন আলী বিনমুহাম্মদ, আল্ ফুছুলুল মুহিম্মাতু ফি মায়া’রিফাতিল আইম্মাহ্, পৃ.-৩১০ ।
মহান আল্লাহ্ এ রাতকে উপলব্দি করার তৌফিক আমাদের সকলকে দান করুন ,
ঈলাহী আমিন ।
সালামুন আলাইকুম ইয়া সাহেবুজ্জামান (আঃ) ইবনে হাসান আসকারী (আঃ) ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ,
আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাাদ ওয়া আলে মুহাম্মাাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ,
আল্লাহুম্মাাল আন কাতালাহ আমিরিল মুমিনিন (আঃ) ।
হযরত মুহাম্মাাদ (সাঃ) থেকে এ রাতের ব্যাপারে অনেক হাদীস বিদ্যমান রয়েছে । তবে যেসব হাদীসসমূহ পরিপূর্ণতার আলোকে ইসলামের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্যতা রাখে তা নিম্নে বর্ণিত হল ,
যথা --
রাসূলে খোদা (সাঃ) বলেছেন , শাবান মাসের মধ্য রজনীতে অর্থাৎ ১৫ই শাবানের রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম ।
এমন সময় জিব্রাঈল (আঃ) আমার নিকট উপস্থিত হয়ে বলল , হে মুহাম্মাাদ ! কিভাবে আপনি এ রাতে ঘুমিয়ে আছেন ?
জিজ্ঞাসা করলাম , হে জিব্রাঈল ! কেন এ রাত এমন কি রাত ?
সে বলল , এ রাত হচ্ছে ১৫ই শাবানের রাত । হে মুহাম্মাাদ , উঠুন !
এর পর সে আমাকে শোয়া থেকে উঠাল এবং জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে বলল , আকাশের দিকে চেয়ে দেখুন ! আজ রাতে আসমানের দরজা সমূহ খুলে যাবে । রহমতের দরজা সমূহ খুলে যাবে এবং খুলে যাবে সকল সুখ , সমৃদ্ধি , ক্ষমা , রুযি , পরিত্রাণ পাওয়া ও পূনর্জ্জিবীত হওয়ার দরজা সমূহ ও আরও অন্যান্য ...।
মহান আল্লাহ্ এ রাতে চারপায়ী জন্তুর গায়ের চুল ও পশমের পরিমাণ নিজ বান্দাগণকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করবেন । এ রাতে তিনি মৃত্যুর সময় এবং আগামী এক বছরের রিযিক (এখানে সকল নেয়ামতকেই বুঝান হয়েছে) নির্ধারণ করবেন ।
হে মুহাম্মদ !
যারা এ রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালাকে পবিত্র ও একক সত্তা জেনে তাঁর যিকির করবে , তাকে রাজী-খুশি করার জন্য নামায-দোয়া পড়বে , পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করবে ও অধিক পরিমাণে আসতাগফার করে রাতকে প্রভাতে পৌছাবে তাদের স্থান হবে জান্নাতে এবং তারা এর পূর্বে যা কিছু গোনাহ আঞ্জাম দিয়েছে ও পরবর্তীতে আঞ্জাম দিবে তাও ক্ষমা করে দিবেন...।
দ্বিতীয় হিজরীর ১৫ই শাবানের মধ্য রাতে উক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হয় ।
আর তখন থেকেই শবে বরাতের এ রসম-রেওয়াজ প্রচলিত হয় ।
সূত্র - ইবনে তাউউস , আলী বিনমুসা , ইকবালুল আ’মাল , পৃ.- ২১২ , বৈরুত প্রিন্ট , প্রকাশক - মুয়াস্সিসাতুল আয়া’লামিলিল মাতবুআ’ত, ১৪১৭ হিজরী । আল্ মাজলিসি , মুহাম্মদ বাকির / বিহরুল আনওয়ার , খণ্ড-৯৮ ,পৃ.-৪১৩, বৈরুত প্রিন্ট, প্রকাশক - মুয়াস্সিসাতুল ওয়াফা, ১৪০৩ হিজরী ।
কেন এই শবে বরাত রজনী এত বরকতময়?
কি এমন ঘটনা ঘটল যে , যারজন্য এই রজনী এতটাই সৌভাগ্যময় হল ?আমরা এটা জানি যে , এ পৃথিবীতে কোন কিছুই কার্যকারন ব্যতীত সংঘটিত হয় না ।
তাই ১৫ই শাবান ফযিলত মণ্ডিত হওয়ার পেছনেও নিহিত রয়েছে উপযুক্ত কার্যকারন ।
প্রিয় পাঠক ,
আর তা হচ্ছে আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়াতা’য়ালার সর্বশেষ হুজ্জাত , নবী (সাঃ) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ) এর বংশধারার নবম সন্তান ----
সর্বশেষ বারতম ইমাম মাহদী (আঃ) এর শুভ জন্ম রাত ।
যিনি শেষ যমানায় আবির্ভূত হয়ে বিশ্বকে সমস্ত প্রকার অন্যায়-অত্যাচার , নীপিড়ন-নির্যাতন ও জালিমের যুলুম থেকে রক্ষা করে ন্যায়ের মানদন্ডের আওতায় নিয়ে আসবেন এবং খোদায়ী শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন ।
তখন এ পৃথিবীতে থাকবে না কোন প্রকার যুলুম-অত্যাচার , থাকবে না কোন ভেদাভেদ , বাঘ ও ছাগল একই তীরে এক সঙ্গে পানি পান করবে । তখন না বাঘ ছাগলের উপর হামলা করবে আর না ছাগল বাঘকে ভয় পাবে ।
আল্লাহ্ রাব্বুলআ’লামিন আমাদেরকে সে দিন দেখে যাওয়ার তৌফিক দান করুন ,
ঈলাহী আমিন ।
এ রাত ফযিলত মণ্ডিত হবার প্রকৃত কারন আমারা জানতে পারলাম ।
পবিত্র মাসুমিন ইমাম (আঃ) গণও এ রাত ফযিলত মণ্ডিত হবার প্রকৃত কারন এই পবিত্র ব্যক্তিত্বের জন্ম গ্রহণের কারনকেই উল্লেখ করেছেন ।
যা আমরা সাইয়্যেদ বিনতা ইউসের কিতাবে লক্ষ্য করে থাকি ।
তিনি স্বীয় কিতাবে বলছেন , যেহেতু আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা এত বড় ও সর্বাধিক উত্তম কল্যান বা অনুগ্রহ দান করেছেন সেহেতু প্রতিটি মানুষের উচিৎ সেই মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে তাঁর শুকরিয়া আদায় করা এবং শরীরের সর্বশেষ শক্তি দিয়ে এই সর্বোত্তম এলাহী নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ।
আজ্জালাল্লাহু তা’য়ালা ফারাজাহুশ্ শারীফ ।
সূত্র - ইবনে তাউউস , আলীবিন মুসা , ইকবালুল আ’মাল , পৃ.-২০৭ থেকে ২৩৭ পর্যন্ত , বৈরুত প্রিন্ট, প্রকাশক:মুয়াস্সিসাতুল আয়া’লামি লিল মাতবুআ’ত, ১৪১৭ হিজরী । আল্ মাজলিসি, মুহাম্মদ বাকির, বিহরুল আনওয়ার, খণ্ড-৯৪, পৃ.-৮৫, হা.-৫, বৈরুত প্রিন্ট, প্রকাশক: মুয়াস্সিসাতুলওয়াফা, ১৪০৩ হিজরী ।
আমরা ১৫ই শা’বানের আমলে লিপিবদ্ধ একটি দোয়ায় পড়ে থাকি যে ,
((اللهم بحق ليلتنا هذه و مولودها و حجتك و موعودها التى قرنت الى فضلها فضلا فتمت كلمتك صدقا و عدلا لا مبدل لكلماتك ...))
হে আল্লাহ্ ! তোমাকে এই রাতের এবং এই রাতে জন্মগ্রহণকারীর উছিলা দিয়ে ডাকছি এবং তোমার সত্য ও প্রতিশ্রুত হুজ্জাতের উছিলা ধরছি যে , যাঁর কারনে ফযিলতের উপর ফযিলত দিয়েছ । আর তোমার সত্য ও ন্যায়ের বাণী পরিপূর্ণতায় পৌছেছে এবং তোমার বাণীর পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করার ক্ষমতা কারও নেই ।
সূত্র - ইবনে তাউউস , আলীবিন মুসা , ইকবালুল আ’মাল, পৃ.-২১৯, বৈরুত প্রিন্ট, প্রকাশক: মুয়াস্সিসাতুল আয়া’লামিলিল মাতবুআ’ত, ১৪১৭ হিজরী ।
ইমাম মাহদী (আঃ) ২৫৫ হিজরীর ১৫ই শাবানে জন্মগ্রহণ করেছেন তার প্রমাণ শীয়া ও সুন্নি মাযহাবের অনেক রেওয়ায়েতেই পাওয়া যায় এবং উক্ত হাদীসসমূহে এ বিষয়টিও পরিস্কারভাবে উল্লেখ রয়েছে যে , এই পবিত্র রাতে তাঁর জন্মগ্রহনই হচ্ছে এ রাতের ফযিলতের কারণ ।
সূত্র - আল্ কুলাইনী , মুহাম্মদ বিন ইয়াকুব, আল্ কাফী, খণ্ড-১, পৃ.-৫১৪, তেহরান প্রিন্ট, প্রকাশক: দারুলকুতুবিল ইসলামিইয়্যা, সন ১৩৬৫ ফার্সি / আছ্ ছাদুক, মুহাম্মদ বিন আলী ইবনুল হুসাইন , কামালু্দ্দিন ওয়া তামামুন্ নেয়া’মাত, খণ্ড-২, পৃ.-৪৩২, তেহরান প্রিন্ট , প্রকাশক - দারুল কুতুবিল ইসলামিইয়্যা , সন ১৩৯৫ ফার্সি / সাবরাবি , আব্দুল্লাহ্ বিন মুহাম্মদ, আল্ ইত্তাহাফু বিহুব্বিল আশরাফ, পৃ.-১৭৯ / ইবনে ছাব্বাগুল মালিকি , নুরুদ্দিন আলী বিনমুহাম্মদ, আল্ ফুছুলুল মুহিম্মাতু ফি মায়া’রিফাতিল আইম্মাহ্, পৃ.-৩১০ ।
মহান আল্লাহ্ এ রাতকে উপলব্দি করার তৌফিক আমাদের সকলকে দান করুন ,
ঈলাহী আমিন ।
সালামুন আলাইকুম ইয়া সাহেবুজ্জামান (আঃ) ইবনে হাসান আসকারী (আঃ) ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ,
আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাাদ ওয়া আলে মুহাম্মাাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ,
আল্লাহুম্মাাল আন কাতালাহ আমিরিল মুমিনিন (আঃ) ।
Subscribe Our Youtube Channel